বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদে দেওয়া বাজেট বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা থেকে জনজীবনের সুরক্ষার জন্য সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় ন্যাশনাল ডেপলয়মেন্ট অ্যান্ড ভ্যাকসিন প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড কেনা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে দেশের জনসংখ্যার শতকরা ২০ শতাংশ, তথা ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এর মধ্যে তার মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এরই মধ্যে পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে করোনা ভ্যাকসিন কেনার জন্য ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য ১ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হচ্ছে। ভ্যাকসিন কেনার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৯৪ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়ার লক্ষ্যে ঋণচুক্তি চূড়ান্ত পর্যায় রয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং এআইআইবি থেকে ভ্যাকসিন কেনার জন্য সহায়তা পাওয়া যেতে পারে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মোট ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে ভাগ ভাগ করে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে এবং প্রতিমাসে ২৫ লাখ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ইপিআই ও সিডিসি‘র সমন্বয়ে এ ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।