বুধবার (৮ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যদি কোনো গাফিলতি হয় অনেক সময় তথ্য কমিশন জরিমানা ছাড়াও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তথ্য কমিশন এক লাখ ২০ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করেছে। দুর্নীতিসহ যেকোনো তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার সরকার তথ্য কমিশন গঠন করেছে। সেভাবে মানুষ তথ্য পাচ্ছেও।
আমি মন্ত্রীর পদে থেকেও কোনো অফিসে গিয়ে বিনাঅনুমতিতে কোনো গোপনীয় তথ্য নিয়ে নিলে আমি অপরাধী। সেক্ষেত্রে সেই অফিসের কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে যেকোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সে তথ্য কোনো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি হলে সেই অপরাধটা আরও বড়। প্রত্যেক মন্ত্রীকে মন্ত্রী হিসেবে শপথের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নিতে হয়। আমি টিআইবির বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। টিআইবি তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য চুরি দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
করোনার টিকা নিয়ে একটি সূত্রের ওপর বাংলাদেশ নির্ভর করেনি দাবি করে তিনি বলেন, যেখান থেকে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু যখন টিকা বাজারে এলো সব দেশ নিজেদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেছে। সিরাম ইনস্টিটিউট প্রথমে এগিয়ে আসে। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কারণে চীন থেকে টিকা এসেছে, অন্য দেশ থেকে টিকা আসছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) রিপোর্টকে গবেষণা বলে চালিয়ে দেয় বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, টিআইবির মতো সংগঠন থাকার দরকার আছে। এ ধরনের সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলো থাকার দরকার আছে। তারা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে এটিই স্বাভাবিক, আমরাও চাই সেটি। টিআইবি বিভিন্ন সময় যে গবেষণার কথা বলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গবেষণা না করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে, সেটিকে গবেষণা বলে চালিয়ে দেয়, এটি সমীচীন নয়।
তিনি বলেন, যেসব দেশ থেকে টিআইবি ফান্ড পায় সেসব নিয়ে তাদের কখনো কিছু বলতে দেখিনি। বাংলাদেশ ও দরিদ্র দেশগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে এক হাজার ৩০০ ছবি নিয়ে ‘ছবির ভাষায় মহানায়ক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। বর্ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসরীন হোসেন লুইজার সম্পাদনায় এই অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এসময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল উপস্থিত ছিলেন।