একই সঙ্গে যথাযথ দলিলবিহীন অভিবাসীদের চিহ্নিত করার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে পুনঃব্যবস্থাপনার কর্মসূচির আওতায় নির্মাণ, উৎপাদন, বৃক্ষরোপণ এবং কৃষিক্ষেত্রে নিয়োগকারীদের অননুমোদিত বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়।
এই কর্মসূচিটি এখন চারটি সাব-সেক্টরের নিয়োগকারীদের জন্য বাড়ানো হয়েছে, পাইকারি ও খুচরা, রেস্তোঁরা, কার্গো পাশাপাশি পরিষ্কারের পরিষেবাগুলো।
এদিকে ইমিগ্রেশনের ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রিক্যালিব্রেশনের কাজ চলমান থাকবে। তবে প্রবাসীদের প্রত্যাশা রিক্যালিব্রেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে। ইতোমধ্যে বৈধকরণ কর্মসূচির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য মালয়েশিয়া সরকারের কাছে বাংলাদেশ হাইকমিশন অনুরোধ করেছে বলে হাইকমিশনের একটি সূত্রে জানা গেছে।
মালয়েশিয়া সরকার প্রত্যাবাসন পুনরুদ্ধারের কর্মসূচিও চালু করে যেখানে অনিবন্ধিত অভিবাসীরা স্বদেশে ফিরে যেতে পারে।
১১ জুন দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে হামজা বলেছেন, ‘তাদের যথাযথ ডকুমেন্টেশন থাকবে এবং তাদের আর লুকিয়ে থাকতে হবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী আইনপ্রণেতারা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অবৈধদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে এই পদক্ষেপ বন্ধ করে সাধারণ ক্ষমা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা উল্লেখ করেছেন, এই ধরনের অভিযান দুর্বল লোকদের আত্মগোপনে ঠেলে দিতে পারে এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। হামজা বলেছেন, অভিযান না হলে অবৈধ অভিবাসীরা বেরিয়ে আসার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
‘আপনি যখন এই লোকদের পটভূমি জানেন না তখন কেন এই লোকদের জন্য সাধারণ ক্ষমা দিতে চান?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা দেশ ও আমাদের মানুষের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে, এটি একটি পুরনো সমস্যা এবং বছরের পর বছর ধরে চলছে।’
হামজা বলেছেন, পুনরুদ্ধার কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ২ লাখেরও বেশি অভিবাসী নিবন্ধিত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার বৈধতা পেতে আবেদন করেছেন এবং এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ অবৈধ অভিবাসী নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।