ফেসবুক টেকনোলজিস আয়ারল্যান্ড লিমিটেড, ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লিমিটেড এবং ফেসবুক পেমেন্টস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের ফেসবুকের তিনটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট থেকে ব্যবসা পরিচয় নম্বর (বিআইএন) পেয়েছে বলে জানান ফিল্ড অফিসের অতিরিক্ত কমিশনার প্রমিলা সরকার।
গুগল এবং ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন অনুমোদন পাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে ফেসবুক তাদের বিআইএন নম্বর পেলো।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে তাদের প্রতিনিধি অফিস স্থাপন করতে রাজি ছিল না।
তারা গোপনীয়তা ও সুরক্ষা ঝুঁকির কারণে গ্রাহকদের তথ্য সম্বলিত বিক্রয় তথ্য এজেন্টকে দিতে কিংবা এনবিআরকে পরোক্ষ কর বা ভ্যাট দিতে আগ্রহী ছিল না।
গত বছরের শেষের দিকে এনবিআর সিদ্ধান্ত নেয়, এসব প্রতিষ্ঠানকে দেশে অফিস না নিলেও সরাসরি কর নেটওয়ার্কের আওতায় আনবে।
তবে প্রযুক্তিগত ও আইনি জটিলতার কারণে গত এক বছরে এ বিষয়ে অগ্রগতি বেশ ধীর ছিল বলে জানান রাজস্ব কর্মকর্তারা।
এর আগে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব কোম্পানিকে হয় বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করতে হবে অথবা ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। এই এজেন্টরা ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব দেবে।
‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানকে মূসক নিবন্ধন নিতে হবে এবং তাদের বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা মূসক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। পরে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।