সোমবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল চার্টার বলেন, ‘ব্যবহারকারীরা আমাদের কাছে আরও নিরাপত্তা আশা করছেন। আমরা সে উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা গোপনীয়তার শক্তিশালী বলয় তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে পারে না, সেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সরকারের চিন্তা করার যথেষ্ট কারণ আছে।’
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন প্রকাশ হলে ফেসবুকের কাছে ব্যবহারকারীর সব ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাবে- চলতি বছরের শুরুর দিকে এমন খবর প্রকাশ হয়। এর ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে ব্যবহারকারীই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।
তখন জানানো হয়েছিল, টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অ্যাকসেপ্ট না করলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাবে। ব্যবহারকারীদের ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষিতে মেসেজিং অ্যাপটি জানায়, গত ১৫ মে চালু হওয়া টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অ্যাকসেপ্ট না করলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট বাতিল হবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তার নীতি নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছে, ঠিক তখনই এর বিকল্প মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারকারীদের সামনে হাজির হয় টেলিগ্রাম, সিগন্যাল ও থ্রিমাসহ একাধিক প্ল্যাটফর্ম।
ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবহারকারীদের আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য এখন হোয়াটসঅ্যাপ যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে আসা সরকারি চাপ কমানোর জন্যই এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।