সোমবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
ঢাকা-১৮ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবকদের জামানত ছাড়া সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার আলাদা করে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
তিনি জানান, গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবকদের জামানত ছাড়া সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হয়। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৯ ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৮ হাজার ২২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বগুড়া-৬ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো- পদ্মা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রি অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি।
তিনি জানান, ব্যাংকগুলোর সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে মার্জিংয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। নতুন অনুমোদিত ব্যাংকগুলোর অস্তিত্বের স্বার্থে আপাতত মার্জিংয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই।
দেশে বর্তমানে ৪৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। যার মধ্যে ১০টি ইসলামিক ব্যাংক। এছাড়াও ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক, তিনটি বিশেষায়িত, পাঁচটি অ-তালিকাভুক্ত এবং ৯টি বিদেশ বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা রয়েছে।