গত বুধবার (৯জুন) বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর এক চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়,বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের কনসোলিডেটেড কাস্টমার একাউন্টে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা ঘাটতি রয়েছে। গত মে ও জুন মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত হিসেবে এ টাকা ঘাটতি পায় ডিএসইর ইন্সপেকশন টিম।
এই অভিযোগে আজ (মঙ্গলবার) থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সাথে কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।
সোমবার (১৪ জুন) ডিএসইর পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়,কোম্পানিতে মোট ৬ জন পরিচালক রয়েছেন। বর্তমানে কোম্পানির চেয়ারম্যান হলেন আব্দুল মুহিত এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন শামিউল ইসলাম। তাদের দুই জনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে।
এর আগে বানকো সিকিউরিটিজের একাধিক গ্রাহক অর্থসংবাদকে জানিয়েছে তাদের বিও হিসাবে টাকা জমা দিলেও কোন লেনদেন করতে পারছেনা। অর্থসংবাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক গ্রাহক অর্থসংবাদকে জানিয়েছে তিনি এক কোটি টাকা হাউজটিতে রেখেছিল মাসিক ভিত্তিতে ভালো মুনাফার জন্য। অর্থাৎ প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ মুনাফা হিসেবে দেওয়া হতো। তবে গত একবছর ধরে কোন মুনাফা দেয়া বন্ধ করে দেয়, ফলে গত একবছর ধরে এ টাকা ফেরত চেয়েও পায়নি গ্রাহক। একাধিকবার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
একটি সূত্র অর্থসংবাদকে জানিয়েছে, বানকো সিকিউরিটিজ একটি ঔষধ কোম্পানি কেনার পর আর্থিক চাপে পড়ে যায়। যার কারণে তারা গ্রাহকদের টাকা দিতে পারেনি। অর্থাৎ গ্রাহকের টাকা বিনিয়োগ করেছে অন্য খাতে। অতিরিক্ত সুদের ভিত্তিতে মাসিক হারে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্রোকার হাউসের আড়ালে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।