এর আগে ইউটিউবে অ্যালকোহল ও জুয়া খেলার বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যাক্সেস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীরা এসব বিজ্ঞাপন দেখতে পেতেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক বা নির্বাচনী বিজ্ঞাপনসহ সব ধরনের অবৈধ বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করা হয়েছে।
ইউটিউব বলছে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখালে বিতর্ক তৈরি হয় এবং নানামুখী সমালোচনার ফলে প্ল্যাটফর্মটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণে এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
গত বছরের ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানোর ফলে বিতর্ক ওঠে। সেই সময় থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন না দেখানোর দাবি উঠতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার পর থেকে সেই দাবি জোরদার হতে থাকে। এরপর টুইটার, ফেসবুকসহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউটিউবও মাদক, জুয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে।
এক ব্লগপোস্টে ইউটিউব বলেছে, ‘এখন থেকে প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যালকোহল, জুয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না। বিতর্ক এড়ানোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক বছরে নীতিমালা তৈরির কাজ করে আসছে গুগল। এই সময়ে তারা ব্যবহারকারী কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না- সেটি ঠিক করে আসছে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে তারা হেটস্পিচ, অসত্য তথ্য, রাজনৈতিক উসকানিমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।