মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে রাজধানীর ২৫, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে পরিবহন শ্রমিকদের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকনের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী।
এ সময় সহসভাপতি মো. আব্দুল কাইয়ুম, প্রচার সম্পাদক মো. ইরফান করিম, দফতর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. ইনসুর আলী বলেন, লকডাউনে শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা, অফিস,সার্ভিস সেক্টর খোলা, শপিং মল, বাজার ঘাট খোলা রয়েছে। পরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি পালন বা জীবাণুনাশক ব্যবহারের কোনো বালাই নেই। পরিবহন মালিকরা বিআরটিএর সঙ্গে যোগসাজশ করে সাধারণ ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি করে নিজেরা লুটে নিচ্ছে। গণপরিবহনের ৬০ % বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী মালিক কর্তৃক পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, শ্রম আইন লঙ্ঘন করে চাঁদাবাজির নির্দেশিকা তৈরির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে শ্রম আইন পরিপন্থী চাঁদা উত্তোলন করে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের হিসাব যাচাই বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক পরিবহন শ্রমিকদের আগামী এক বছর রেশন প্রদানের ব্যবস্থা করা, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবহন শ্রমিকদের কোভিড- ১৯ প্রতিরোধক টিকা প্রদান এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ ঘোষিত পরিবহন শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।