বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে রংপুর জেলা আড়তদার মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উত্তরবঙ্গ আর পিছিয়ে নেই। অচিরেই সবকিছু বদলে যাবে। চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ পাঁচটি পয়েন্টে স্থলবন্দর করা হবে। ভারত থেকে কেউ এখানে আসলে চেকিং ও কাস্টমস হবে। এতে ওইসব অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে বলে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ মোচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীর দুইপাড়ে শিল্প নগরী গড়ে তোলা হবে। এজন্য চীনকে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। আশা করছি, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা খননের সময় দুইপাড়ে ওঠা বিপুল পরিমাণ বালুর ব্যবহার নিয়ে আমরা ভাবছি। ওই বালু দিয়ে ইটের বদলে বালু-সিমেন্ট মিশ্রিত কংক্রিটের ইট তৈরি করা যায় কি না, সেটিও ভেবে দেখা হচ্ছে। সেই জন্য তিস্তার বালু পরীক্ষা করা হবে। এতে দেশে কংক্রিটের ইট নির্মাণ শিল্পের প্রসার ঘটবে।
এ সময় তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ নেতারা। তারা মন্ত্রীর মাধ্যমে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প শীর্ষক মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও বেরোবির শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ।
এর আগে আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি তবিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন। এ সময় আলু ব্যবসায়ী, আড়তদার ও চাষিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানে তিনি আশ্বাস দেন।