শুক্রবার (১৮ জুন) জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, প্রস্তাবনায় কোভিড মহামারিতে শ্রমিক শ্রেণি এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে তাদের কোভিড টিকা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) প্রাপ্যতা এবং যথাযথ বেতন-ভাতার সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও প্রস্তাবনায় বিশ্ব শ্রম বাজার ও অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষের জন্য সময়োচিত ও সাশ্রয়ী কোভিড টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যতার প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।
কোভিড-১৯ এর প্রতিকূল প্রভাবে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ এবং শ্রম বাজারে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় রাষ্ট্রসমূহকে যথাযথ সহায়তা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে অধিকতর কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয় প্রস্তাবনায়।
মহামারিকালীন ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বিশেষতক করে নারী, বৃদ্ধ ও অভিবাসীদের জন্য বিশেষ কর্মপন্থা প্রণয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের ওপর প্রস্তাবনায় আলোকপাত করা হয়। পাশাপাশি মহামারি পরবর্তী একটি টেকসই, গণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এ দলিলটি শ্রম সম্মেলনের কোভিড সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটিতে দীর্ঘ আপস-আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হয়। জেনেভার বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটিতে বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সমন্বয়কের ভূমিকাও পালন করে। এ অঞ্চলের মহামারি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তা মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনাও দেয় বাংলাদেশ।