এর আগে গত শুক্রবার (১৮ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রস্তাবটি পাস হয়। এর পক্ষে ১১৯টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে ভোট দেয় শুধু বেলারুশ। বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ৩৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
জাতিসংঘে ভোটাভুটির পরদিন শনিবার এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল যে কারণ, তা স্বীকার করে না নিলে এবং তার সমাধানে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা না হলে মিয়ানমার বিষয়ে যে কোনো প্রস্তাব অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
হতাশা প্রকাশ করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, আমরা যা আশা করেছিলাম, এটি তার থেকে কম এবং এই রেজুলেশন একটি ভুল বার্তা দেবে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি ব্যর্থ হয়, তবে মিয়ানমার কোনও ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করবে না।
প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনও সুপারিশ বা পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এসব মৌলিক বিষয় প্রস্তাবে উঠে না আসায় বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।