সূত্র মতে, ইতোমধ্যে জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্রকল্পে যন্ত্রপাতি আংশিক সংস্থাপন করে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদন সন্তুষজনক হওয়ায় কোম্পানিটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে কোম্পানিটির সম্প্রসারিত নতুন প্রকল্পের মেশিনারিজ সংস্থাপন ও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের প্ল্যান্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রাইমেটাল টেকনোলজিসের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানরা বাংলাদেশে আসতে পারেন নি। করোনা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অনলাইনে প্রাইমেটালের প্রকৌশলীদের সহযোগিতা নিয়ে জিপিএইচ ইস্পাতের নিজস্ব টেকনিশিয়ানরা যন্ত্রপাতি সংস্থাপন শুরু করেন এবং তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।
জিপিএইচ ইস্পাতের সম্প্রসারিত নতুন প্রকল্পে বছরে ৮ লাখ ৪০ হাজার টন এমএস বিলেট এবং ৬ লাখ ৪০ হাজার টন এমএস রড, মিডিয়াম সেকশন প্রোডাক্টস (স্টিল বিম, এঙ্গেল, চ্যানেল, ফ্ল্যাটবার ইত্যাদি) উৎপাদন করা সম্ভব। তবে পূর্ণ উৎপাদনক্ষমতা ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
জিপিএইচ ইস্পাতের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির বিদ্যমান প্রকল্পের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা হচ্ছে-১ লাখ ৬৮ হাজার টন এমএস বিলেট এবং ১ লাখ ২০ হাজার টন এমএস রড। নতুন প্রকল্প পূর্ণক্ষমতায় চালু হলে এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ১০ লাখ ৮ হাজার টন এমএস বিলেট এবং ৭ লাখ ৬০ হাজার টন এমএস রড ও মিডিয়াম সেকশন প্রোডাক্টস।
জিপিএইচ ইস্পাতের সর্বশেষ প্রান্তিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক তথা ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের বছরের তুলনায় প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ২০৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।