অন্যদিকে, কানাডা গত ১৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থলসীমান্তে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে। কানাডায় করোনার তৃতীয় ঢেউ এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সরকার একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সীমান্ত দিয়ে আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত অপ্রয়োজনীয় সকল যাতায়াত বন্ধ থাকবে।
মহামারির কারণে বর্তমানে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে দেশটির নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দারা কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন।
কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, কোভিডকালের শুরু থেকেই জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে কানাডার সরকার। টিকাদানের হার আরও সন্তোষজনক পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত সরকারের এসব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে হবে।
বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী কিরণ বনিক শংকর বলেন, করোনা কমতে শুরু করলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি।
আলবার্টার অধিবাসী এবং সিলেট অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি রূপক দত্ত বলেন, যেকোনো মূল্যে স্বাস্থ্যসুরক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনাকালে কানাডা সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
করোনা মহামারির শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করে কানাডার সরকার। করোনা মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চে প্রাথমিকভাবে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সীমান্ত দিয়ে পণ্যদ্রব্য ও জরুরি প্রয়োজনীয় ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৮ হাজার ৮৩৬ জন, মারা গেছেন ২৬ হাজার ৭৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭১ হাজার জন। কানাডায় প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তা আগের তুলনায় অনেক কম।