মহামারিতে ট্রাভেল কোম্পানিগুলোর আয়-রোজগার ভীষণভাবে কমে গেছে। ২০২০ সালের পর ২০২১ সালেও আরেকটি গ্রীষ্মকালীন মৌসুম হারাতে চায় না তারা। কিন্তু বিমানের ওপর যুক্তরাজ্য সরকারের যে বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে, তাতে নিশ্চিতভাবেই আসন্ন গ্রীষ্মকালীন মৌসুমও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বিমান ও হলিডে কোম্পানিগুলোর।
জুলাই আসন্ন। বিধিনিষেধ তুলে নিতে সরকারের দিক থেকেও কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপের সর্ববৃহৎ এয়ারলাইন রাইয়ানএয়ার ও ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টস গ্রুপ। তাদের দাবি ছিল, সরকার যেন আরেকটি লাভজনক মৌসুম শুরুর আগেই বিধিনিষেধ শিথিল করে।
বসে নেই অন্যরাও। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ২৩ জুন বুধবার মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে ও যুক্তরাজ্যজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে জড়ো হবেন পাইলট, কেভিন ক্রু ও ট্রাভেল এজেন্টরা।
পাইলটদের ট্রেড ইউনিয়ন বিএএলপিএর সমীক্ষামতে, মহামারীকালীন ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাজ্যের বিমান শিল্প বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তথ্য বলছে, এ মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যে বিমানের যাত্রী মহামারী শুরুর আগের তুলনায় ৭৩ শতাংশ কমে গেছে, যা ইউরোপের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ সময় স্পেন, গ্রিস ও ফ্রান্সে কমেছে ৬০ শতাংশের মতো।
সমীক্ষার তথ্য আরো বলছে, যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ বিমানবন্দর গ্যাটউইকে যাত্রী ওঠা-নামা কমেছে ৯২ শতাংশ। বিএএলপিএর জেনারেল সেক্রেটারি ব্রায়ান স্ট্রাটন বলেন, টাস্কফোর্স ও রিভিউ নিয়ে লুকোচুরির সময় নেই। যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি বিএএলপিএ আহ্বান জানাচ্ছে, যেন তারা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় পর্যটন অঞ্চলগুলোর গন্তব্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
যুক্তরাজ্যের বিমান খাতে এরই মধ্যে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে এবং সরকারের প্রণোদনা নিয়ে টিকে আছে ট্রাভেল ও পর্যটন খাতের প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।