ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৩৬ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী এক লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শেখ ফায়েজ উল্যাহ শিপন (লাঙল) পেয়েছেন এক হাজার ৮৮৬ ভোট।
উপনির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন শেষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রার্থী শিপন জামানত হারিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে গৃহীত ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেলে প্রার্থী জামানত হারান বলে গণ্য হন। সেই হিসেবে জাপা প্রার্থী শিপন এক হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
সূত্র জানায়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এ আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এমপি নির্বাচিত হন। এরপর দুবারই তিনি এ আসনের এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৯৬ সালে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ এমপি নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া। এরপর এ আসনে ২০০৮ সালে বিএনপি নির্বাচিত হয়। ২০১৪ সালে জোটগত কারণে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমান এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির নোমান ফের জোটগতভাবে মনোনয়ন পান। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় এমপি নির্বাচিত হন।
পাপুল গত বছরের ৬ জুন কুয়েতে ঘুষ কেলেঙ্কারি ও মানবপাচার মামলায় গ্রেফতার হন। পরে কুয়েতের আদালত তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন। এতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচন দেয়া হয়।