সোনালী লাইফে ১০ হাজার টাকার আবেদনে ১৭ শেয়ার

সোনালী লাইফে ১০ হাজার টাকার আবেদনে ১৭ শেয়ার
পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এই প্রথম সকল আবেদনকারী সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) শেয়ার পেয়েছে। ১০ হাজার টাকার আবেদনকারী প্রত্যেক বিনিয়োগকারী পাবে ১৭টি শেয়ার। প্রত্যেকটি শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা করে। ফলে ১৭টি শেয়ারের বাজার মূল্য ১৭০ টাকা। সোমবার (২১ জুন) নতুন পদ্ধতিতে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সোমবার (২১ জুন) ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়ার জন্য ডিএসই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিকে একইভাবে প্রবাসী (এনআরবি) বিনিয়োগকারীরা ৩৩টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ২২টি করে শেয়ার পেয়েছেন। র্যানডম পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীদের এভাবে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু সাধারণ বিনিয়োগকারী ১৮টি এবং কিছু প্রবাসী বিনিয়োগকারী ৩৪টি করে শেয়ার পেয়েছেন।

যেসব দেশীয় সাধারণ বিনিয়োগকারী আইপিওতে ২০ হাজার টাকা আবেদন করেছেন তাদের ৩৪টি শেয়ার, যারা ৩০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৫১টি, যারা ৪০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৬৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৮৫টি শেয়ার দেয়া হয়েছে।

একইভাবে যেসব প্রবাসী বিনিয়োগকারী আইপিওতে ২০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৬৬টি শেয়ার, যারা ৩০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৯৯টি, যারা ৪০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ১৩২টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ১৬৫টি শেয়ার দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে যেসব ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী আইপিওতে ২০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৪৪টি শেয়ার, যারা ৩০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৬৬টি, যারা ৪০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৮৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ১১০টি শেয়ার দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সোনালী লাইফের আইপিওতে ৩৬ দশমিক ৪৫ গুণ বেশি আবেদন পড়েছে। আইপিওতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার পেতে মোট তিন লাখ ৬৭ হাজার ২৫০ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেন। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৩৮৯টি আবেদন বাতিল হয়েছে। সে হিসাবে বৈধ আবেদন পড়ে তিন লাখ ৪১ হাজার ৮৬১টি।

এসব বৈধ বিনিয়োগকারীরা ৬৯ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০টি শেয়ারের জন্য মোট ৬৯২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার আবেদন করেছেন। এর মধ্যে দুই লাখ ৭৩ হাজার ৩৬ জন সাধারণ বিনিয়োগকারী ৪৪ কোটি ৩৮ লাখ ৮৬ হাজারটি শেয়ারের জন্য ৪৪৩ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কোটায় ৪৯ হাজার ৯৯২ জন বিনিয়োগকারী আট কোটি ৪৩ লাখ ৮৯ হাজারটি শেয়ারের জন্য ৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার আবেদন করেন। প্রবাসী (এনআরবি) কোটায় আবেদন করেন ১৮ হাজার ১২২ জন। এসব বিনিয়োগকারীরা পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ৭৮ হাজারটি শেয়ারের জন্য ৫৬ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার আবেদন করেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত