বুধবার (২৩ জুন) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সভাপতিত্বে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে এ সহায়তা চান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সম্মেলনে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, বৈশ্বিক মহামারির এ সময়ে টিকাকে বিশ্বজনীন মঙ্গল হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার জন্য চীনের মতো দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উৎসাহব্যঞ্জক। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো যেসব দেশের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা আছে, সেসব দেশকে টিকা উৎপাদনে সহায়তা দিন। করোনা নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান, করোনা প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ ও সমন্বয়, টিকাকে জনগণের সম্পত্তি ও কোভ্যাক্স উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে জীবন ও জীবিকা ব্যাহত করছে। মহামারির ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে কেউ রেহাই পায়নি। তবে স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চীনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন। সম্মেলনে করোনা প্রতিরোধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।