অবশ্য এ জয়ের পরেও আর্জেন্টিনাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি প্যারাগুয়ে। এ গ্রুপে তিন ম্যাচে ২ জয়ে পাওয়া ৬ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনার কাছাকাছি চলে এসেছে তারা, অবস্থান করছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আরোহণ করেছে আর্জেন্টিনা।
অন্যদিকে চিলি খেলে ফেলেছে তাদের সব ম্যাচ। চার ম্যাচে তারা জিতেছে ১টি, হেরেছেও ১টি আর ড্র হয়েছে বাকি দুই ম্যাচ, ৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান তৃতীয়। একইদিন প্রথম জয় পাওয়া উরুগুয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে চার নম্বরে। জয়হীন বলিভিয়া রয়েছে টেবিলের তলানিতে।
বৃহস্পতিবার ভোরে হওয়া ম্যাচটিতে বল দখলের লড়াইয়ে একক আধিপত্য ছিল চিলির। ম্যাচের প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের। কিন্তু সে তুলনায় আক্রমণ করতে পারেনি কোনো। অন্যদিকে তিনটি শট লক্ষ্য বরাবর করে দুইটিতেই গোল পেয়ে গেছে বলিভিয়া।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেছেন ব্রায়ান সামুদিও। কর্নার থেকে মিগুয়েল আলমিরনের ক্রসে লাফিয়ে ওঠা হেডে বল জালে জড়ান সামুদিও। পরে দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে আলমিরন নিজেই করেন দ্বিতীয় গোলটি। তিনিই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
চিলির বিপক্ষে প্যারাগুয়ের এটি টানা তৃতীয় জয়। আর সবমিলিয়ে চিলির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে গেলো তারা। দুই দলের মুখোমুখি ৬৪ ম্যাচে প্যারাগুয়ের জয় ২৮ ম্যাচে, ড্র ৯টি আর চিলি জিতেছে ২৭ ম্যাচে।
সবশেষ জয়ের পর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে প্যারাগুয়ের। দিনের আগের ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে বলিভিয়ার হারের সুবাদে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে চিলিরও। এ গ্রুপ থেকে বাদ পড়তে যাওয়া একমাত্র দল বলিভিয়া।