রোববার (২৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের অতীতে কখনোই আমরা প্রণোদনা দিতে পারিনি। এর একটা শুভ সূচনা এবছর আমরা করলাম, যার পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়েছে। এ দুটি খাতকে কিভাবে সম্প্রসারিত করা যায় সেজন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমরা প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৪ জন খামারিকে ৮৪৬ কোটি টাকা প্রণোদনার সংস্থান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮১ জন খামারিকে ৫৫৭ কোটি ৩৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭৪ টাকা নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ২য় ধাপে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ২১ জন খামারিকে ২১৬ কোটি ৮৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যাচাই-বাছাই করে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অবশিষ্ট খামারিদের প্রণোদনা দেয়া হবে। লক্ষ্য একটাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত যাতে কোনভাবেই স্তিমিত হয়ে না যায়। ভেঙ্গে না পড়ে। আশা করি এ প্রণোদনা দিয়ে খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। শেখ হাসিনা সরকার খামারিদের পাশে আছে।’’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ। মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।