এই অবস্থায় ব্যাংক চালু থাকবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল, যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, ব্যাংক বন্ধ হবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী তিন দিন ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে আগের নিয়মেই। এখন জুন ক্লোজিং চলছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ জুলাই থেকে পরবর্তী নির্দেশনা হতে পারে।’
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে সোমবার ভোর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত। একে বলা হচ্ছে লকডাউন।
এরপর বৃহস্পতিবার থেকে দেয়া হবে কঠোর লকডাউন, যেটি এবার পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে। সরকার এবার সাধারণ মানুষকে ঘরের ভেতরে রাখতে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছে যে, সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হচ্ছে।
এপ্রিল থেকে ব্যাংক চলেছে যেভাবে
৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ ব্যাংকে লেনদেন দুই ঘণ্টা চললেও ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসার পর প্রথমে জানানো হয়, ব্যাংক বন্ধ থাকবে। কিন্তু উল্টো পরে সময় বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলতে থাকে।
বিধিনিষেধ চতুর্থ দফা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করার প্রজ্ঞাপন আসার পর ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় লেনদেন চলবে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত।
২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়ালে ব্যাংকে লেনদেন আধাঘণ্টা বাড়িয়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত করা হয়।
পরে ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন আবার আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে চলে ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত করা হয়।
১৭ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত আবার বিধিনিষেধ দিলে ব্যাংক চলে ১০ টা থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত। এরপর আর বিষয়টি পাল্টানো হয়নি।