হজমশক্তি ভালো রাখে
যারা হজমের নানা সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য উপকারী ফল হতে পারে জাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হজমশক্তি দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে এই ফল। এটি ডায়েটারি ফাইবারের অন্যতম কার্যকরী উৎস। তাই নিয়মিত জাম খেলে হজমশক্তি বাড়ে, দূর হয় হজমসংক্রান্ত নানা সমস্যা। পাশাপাশি জাম খেলে ভালো থাকে লিভারও।
হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে
সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই জামের সময়ে নিয়মিত জাম খান। রঙিন এই ফলে আছে ফসফরাস ও পটাশিয়াম জাতীয় খনিজ। উপকারী এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেইসঙ্গে ভালো রাখে হৃদযন্ত্রকেও। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন জাম খেতে।
দাঁত মজবুত করে
জামে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন। প্রয়োজনীয় এই খনিজ উপাদানগুলো দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। দাঁত থাকতে দাঁতের গুরুত্ব দিতে জাম খেতে হবে। একগ্লাস দুধের সঙ্গে আধা চা চামচ জামের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে তা হাড়কে আরও মজবুত করবে।
ত্বকের সমস্যা দূরে রাখে
আপনি যদি নিয়মিত জাম খান তবে দূরে থাকবে ত্বকের অনেক সমস্যা। অনেকের ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ইত্যাদির সমস্যা দেখা যায়। জাম খেলে এ ধরনের সমস্যাগুলো দূরে থাকে। সেইসঙ্গে এটি ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। তাই সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে খেতে হবে জাম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
জামে আছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬ ও ভিটামিন সি। এসব ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জামের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য শরীরের ভেতর এবং বাইরের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারে। তাই যেকোনো রকম সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে জাম খেতে হবে।
ডায়াবেটিসে উপকারী
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী এই রসালো ফল। জামে আছে কম গ্লাইসেমিক সূচক, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট ঘন ঘন তৃষ্ণা ও প্রস্রাব, দুর্বলতা ইত্যাদিও দূর হয় জাম খেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন জাম, মধু মিষ্টির বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা।