চিকিৎসকদের মতে, এই সময় নিজেদের যতটা সম্ভব পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজন। শুধু দু’টি হাত বার বার ভাল ভাবে ধুয়ে নিলেই হবে না। তার সঙ্গে নিয়মিত ভাবে জামাকাপড় বদলাতে হবে। কাচতে হবে খুব ভাল ভাবে। বাইরে বের হতে হচ্ছে না বলে তেমন ধুলোবালি লাগছে না, এই ভেবে জামাকাপড় বদলানো বা কাচাকাচিতে অনীহা দেখানো মোটেই উচিত হবে না। তা হলে গৃহবন্দি থেকেও আমরা নিজেদের আর আমাদের বাড়িকে করোনা-সহ নানা ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে কিন্তু বাঁচাতে পারব না।
চিকিৎসকরা বলছেন, বাড়িতে থাকলেও দিনে অন্তত বারদু’য়েক জামাকাপড় বদলাতে হবে আমাদের। কারণ, ব্যবহৃত পোশাকে সব সময়েই নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এসে জমে। এই পরিস্থিতিতে যা খুবই বিপজ্জনক। সারাদিনে একই জামা পড়ে থাকলে সেখান থেকেই সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তা ছাড়া বাড়িতেও বার বার দু’টি হাত সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত। না হলে সেই হাতে জামাকাপড়, দরজা, জানলা, টেবিল, চেয়ার ছোঁয়ার পর সেখান থেকেও আমার আপনার তো বটেই, গৃহবন্দি হওয়া সত্ত্বেও বাড়ির লোকজন সংক্রমিত হতে পারেন।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রোজ আগের দিনের ব্যবহার করা সব জামাকাপড় ভালভাবে সাবান বা সার্ফ দিয়ে কেচে নিতে হবে। ব্যবহার করা জামাকাপড় বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখলে চলবে না। কাচার জন্য সেগুলিকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিতে হবে।