দুটি মামলার অভিযোগ ছিল ‘ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন’ এবং ‘অবৈধভাবে’ হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রামের মালিকানা কিনে নেওয়া। কিন্তু দুটি অভিযোগের ব্যাপারে বাদীপক্ষ কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ রায়ে উল্লেখ করেন, অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে বাদীপক্ষ।
জেমস বোয়াসবার্গ বলেন, ‘বাজারে ফেসবুকের ক্ষমতা কতটুকু রয়েছে এবং হোয়াটসঅ্যাপ ও ইন্সটাগ্রামের মালিকানা কেন অবৈধ সে বিষয়ে ফেডারেল ট্রেড কমিশন আদালতে যথাযথ প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তারা চেয়েছিল আদালতে ফেসবুককে একচেটিয়া কর্তৃত্ব স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হোক।’
বোয়াসবার্গ আরও বলেছেন, মামলাটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রাণোদিত। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুককে আদালতে হেনস্থা করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
ফেসবুক ২০১২ সালে হোয়াটসঅ্যাপ ও ২০১৪ সালে ইন্সটাগ্রামের মালিকানা কিনে নেয়। কিন্তু একে ‘অবৈধ’ দাবি করে মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ‘ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘনের’ অভিযোগে মামলা করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল। দুটি মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ দিন ধরে একচেটিয়াভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ফেসবুকসহ একাধিক টেক জায়ান্ট। এতে অন্য প্ল্যাটফর্মগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে দুটি মামলাই খারিজের আবেদন করেছিল ফেসবুক। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালতের বিচারক এই ২ মামলা খারিজ করে দিয়েছেন।