মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকালে উপসচিব আবুজাফর রিপন পিএও স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা জারি করে।
এতে বলা হয়, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং আশু মেয়াদোত্তীর্ণ হবে এমন ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ১০১ ধারা মোতাবেক প্রশাসনিক অসুবিধা দূরীকরণার্থে বিদ্যমান ইউনিয়ন পরিষদসমূহকে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরেই দেশে সবচেয়ে বড় নির্বাচন-ইউনিয়ন পরিষদের ভোট। সবশেষ ২০১৬ সালের প্রথম দিকে ৫ ধাপে অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ৪ হাজার ১শ‘টির বেশি ইউপিতে ভোট আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরইমধ্যে প্রথম ধাপে গত ২১ জনু ২০৪টি ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি।
গেল কয়েকদিনে আশঙ্কাজনকহারে করোনা সংক্রমণ বাড়ায়, বাকি প্রায় ৪ হাজার ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখতে কমিশনকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও স্থানীয় সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনও আপাতত স্থগিত থাকবে।