স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের গেজেট প্রকাশ: ২০ হাজার কোটি টাকা আসছে

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের গেজেট প্রকাশ: ২০ হাজার কোটি টাকা আসছে
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে একের পর এক চমক দেখাচ্ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশেনর অনেকগুলো চমকপ্রদ আবিস্কারের অন্যতম হলো ‘স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’। যা সম্প্রতি সময়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এ তহবিল ব্যবহার করা হবে। বাজার সংশ্লিষ্ঠদের ধারণা এ তহবিলের মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজার অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ নিয়ে গঠন করা হচ্ছে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’। তহবিলটির আকার ২০ হাজার কোটির টাকার মতো। তহবিলটি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তহবিলটি পরিচালনার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ ।

গত রোববার (২৭ জুন) রুলসটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে এ তহবিল গঠন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই।

সূত্র মতে, এ তহবিলের মধ্যে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। আর বোনাস স্টক লভ্যাংশের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এ তহবিলটি পরিচালনা করবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান।শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দিতে গঠন করা এই ফান্ড ব্যবস্থাপনায় ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস থাকবে। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও ৩ জন সদস্য থাকবেন, যারা বিএসইসি কর্তৃক মনোনীত হবে।

এছাড়াও বোর্ড অব গভর্নসে বিএসইসি থেকে ৪ জন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) থেকে একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন। আর একজন প্রফেশনাল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস বা কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস বা চার্টার্ড সেক্রেটারি বা চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট এবং একজন চিফ অব অপারেশন (সিওও) থাকবেন।

বিভিন্ন কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে তিন বছরের অধিক সময় পড়ে থাকা অর্থ এবংশেয়ার এই তহবিলে স্থানান্তর করা হবে। তিন বছরের হিসাব হবে লভ্যাংশ ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে। এক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে জমা দিতে হবে।

তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্নিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের আছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

সূত্র মতে, তহবিল থেকে বাজারের তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে শেয়ার কেনাবেচা বা ধার প্রদান বা ধার গ্রহণ করা হবে। শেয়ার কেনাবেচা করতে তহবিলের যেন কোনো লোকসান না হয়, তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করা হবে। একই সােথ থাকবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটি।

এদিকে গত সোমবার (০৩ মে) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। ৭৭২তম নিয়মিত কমিশন সভায় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস ২০২১ এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত