শুক্রবার (২ জুলাই) দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে এসব পোস্ট সরিয়ে দেয় প্ল্যাটফর্মটি। অন্যদিকে ইন্সটাগ্রাম ২ লাখ ব্যবহারকারীর পোস্ট সরায়।
ভারতের ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজি আইন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যে মেসেজ পাঠানো হয়, সেগুলো নজরদারি করা হবে। এতে ইতোমধ্যেই দেশটির সরকার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের সমর্থন আদায় করে নিয়েছে।
ভারতের নতুন আইনে যা বলা হয়েছে-
১. সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে ভারতের একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২. সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
৩. ব্যবহারকারীদের অভিযোগ পর্যালোচনা করার জন্য একজন গ্রিভেন্স রিড্রেসাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
সে অনুযায়ী ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীর আপত্তিকর পোস্ট সরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। বিবৃতিতে ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানান, ‘বহু বছর ধরে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য ফেসবুক বিনিয়োগ করে এসেছে। অনলাইনে যেন ব্যবহারকারী নিরাপদ থাকেন এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন সে উদ্দেশ্যেই আমরা কাজ করছি।’
ফেসবুক মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যারা আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করে পোস্ট দিয়েছেন, আমরা কেবল তাদের পোস্ট সরিয়ে দিয়েছি। এ সম্পর্কে ভবিষ্যতে আমরা আরও জানাবো।’ এ সময় আগামী ১৫ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাপারে আরেকটি বিবৃতি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা, ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ফেসবুক অন্তত ৩ কোটি ব্যবহারকারীর সরিয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ স্প্যামিং, ২৫ লাখ ভায়োলেন্ট অ্যান্ড গ্রাফিক কনটেন্ট, ১৮ লাখ অশ্লীল ছবি বা ভিডিও এবং ৩ লাখ ১১ হাজার হেটস্পিচ ক্যাটাগরি রয়েছে। প্ল্যাটফর্মটি বলেছে, ১০টি ক্যাটাগরির মাধ্যমে তারা এসব পোস্ট সরিয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, একই সঙ্গে ১ লাখ ১৮ হাজার সাইবার বুলিং, ৫ লাখ ৮৯ হাজার আত্মহত্যা বিষয়ক, ১ লাখ ৬ হাজার সন্ত্রাসী প্রপাগান্ডা এবং ৭৫ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তির পোস্ট সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুক।