আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ জেপি। সভা পরিচালনা করেন চ্যানেল এস এর হেড অফ প্রোগ্রাম ফারহান মাসুদ খান।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের চিফ প্যাট্রন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হসপিটাল উদ্বোধন করেন। সেই থেকে এ হাসপাতালটি সিলেট তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলের হার্টের রোগীদের সুষ্ঠু সেবা দিয়ে আসছে।
সিলেটসহ দেশে দিন দিন হার্টের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগীদের চাপ বেশি থাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের সাততলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ব্রিট ফাউন্ডেশন ইউকের বিশেষ সহায়তায় আয়োজিত এই ফান্ডরেইজিং ডিনার পার্টির শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ইউকের পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বার শেখ ফারুক আহমদ। কোরআন তেলাওয়াতের পর ইউকে কমিটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হাফিজ মজির উদ্দিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াকুব ও ইউকে এডভাইজারি কমিটির প্রেসিডেন্ট এম এ আহাদসহ মরহুমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও ইউকে সেক্রেটারি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিছবাহ জামাল স্বাগত বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেট প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বর্তমান চেয়ারম্যান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার ডা. এ মালিকের নেতৃত্বে সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ডা. এম এ রকিব, মিসেস রকিব, মিসেস এ মালিক, সেক্রেটারি প্রফেসর আমিনুর রহমান লস্কর ও পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবু তালেব মুরাদ লন্ডন সফরে আসেন। লন্ডনের ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টারে প্রায় ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা ফান্ড রেইজ করে ইউকে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে মরহুম হাফিজ মজির উদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট, মিছবাহ জামালকে সেক্রেটারি ও এস আই আজাদ আলীকে নিয়ে ইউকে এডভাইজারি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই সময় প্রায় ১ কোটি টাকা মরহুম এম ইয়াকুব প্রদত্ত ও অন্যান্য ডোনারদের প্রদত্ত ৭০ লাখ টাকা পাঠানো হয়।
২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেই থেকে ইউকে প্রবাসীরা ফাউন্ডেশনে সহযোগিতা করে আসছেন।
নতুন পুরাতন স্থায়ী দাতা সদস্যরা টেবিলে টেবিলে ঘুরে সবার অভিমত নেন ও আহমদ উস সামাদ চৌধুরীর অনুরোধে একে একে সবাই হাসপাতালের জন্য আর্থিক সাহায্যে দিতে এগিয়ে আসেন।
আর্থিক সাহায্যে দাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সিমার্কের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি ইকবাল আহমেদ ওবিই ১০ লাখ টাকা, চানেল এস প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস জলিল ৫০০০ পাউন্ড, বিশিষ্ট বাবসায়ীদের মধ্যে আবু লেইছ ৫০০০ পাউন্ড, এ গনি পরিবার ৫০০০ পাউন্ড, ইউকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান মুহিব ৫০০০ পাউন্ড সংগ্রহ করবেন।
তারপর উপস্থিত প্রত্যেকে এক-দুই হাজার পাউন্ড করে সহায়তা করে সপ্তম তলা নির্মাণে সহায়তার জন্যে এগিয়ে আসেন। মহামারি করোনা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আগত অতিথিরা এ উদ্যোগকে সফল করতে সচেষ্ট হন।