এর আগে, গত ২৭ জুন ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৩০ জুন মারা যান ১১৫ জন। ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২ জুলাই ১৩২ জন মারা যান।
এ সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২১৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৬ জনে।
শনিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২২ হাজার ৭০৩ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ হাজার ৬৮৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩৪ জনের মধ্যে ৩৯ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৩৮, চট্টগ্রামে ১১, রাজশাহীতে ২৩, বরিশালে ৩, সিলেটে ১, রংপুরে ১৫ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৪ জন পুরুষ এবং ৫০ জন নারী। এদের মধ্যে ৭ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৪ হাজার ৯১২ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৮০ জন এবং নারী ৪ হাজার ৩৩২ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩০, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১০, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।