তরল বা লিকুইড অক্সিজেনের বাড়তি চাহিদা মেটাতে আবুল খায়ের গ্রুপ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তারা জানান, শুরুর দিকে হাসপাতালগুলোয় প্রতিদিন ৭ টন তরল অক্সিজেন দেয়ার সক্ষমতা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩০ টন। এছাড়া প্রতিদিন রিফিল করা হচ্ছে ৫০০ সিলিন্ডার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১৮ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিনা মূল্যে রিফিল করে দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে একটি হটলাইন সেবাও চালু করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ।
প্রতিটি ১০-২২ হাজার টাকা দামের ৫ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার গ্যাসসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও করোনা আইসোলেশন সেন্টারকে অনুদান হিসেবে দেয়া হয়েছে। করোনায় অক্সিজেন সংকট শুরুর পর প্রথম দিকে ১ দশমিক ৪ কিউবিক মিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করা হলেও পরে ৭ দশমিক ৫ কিউবিক মিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করা হয়।
ইস্পাত তৈরির ক্ষেত্রে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বনের প্রয়োজন হয়। আবুল খায়ের গ্রুপ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শীতলপুরে অবস্থিত তাদের ইস্পাত কারখানার প্রয়োজন মেটাতে ২০১২ সালে বহুজাতিক কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশের সহায়তায় অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণের কাজ শুরু করে। ২০১৫ সালে প্লান্টটিতে উৎপাদন শুরু হয়। এটির দৈনিক অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা ২৬০ টন। ২০২০ সালে বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলায় অতিজরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজনে একেএস প্লান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে দেয় আবুল খায়ের গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব উদ্যোগে ২০টি হাসপাতালে বিনা মূল্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করে দিয়েছে। চিকিৎসাকাজে অক্সিজেন প্রসেসিংয়ের জন্য নতুন করে সরঞ্জামাদি সংযোজন করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। পাশাপাশি বিদেশ থেকে ৩০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারও আমদানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানের এজিএম মো. শামসুদ্দোহা জানান, ২০২০ সালে বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলায় অতিজরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজনে একেএস প্লান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে দেয় আবুল খায়ের গ্রুপ। নতুন করে মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেল অক্সিজেন সহায়তা কার্যক্রম আরো বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে লিকুইড অক্সিজেন ১৫ থেকে ২০ টন সরবরাহ করা হতো, এখন সেটি বাড়িয়ে ২৫ থেকে ৩০ টন করা হয়েছে।