বুধবার (৭ জুলাই) ‘বঙ্গমাতা’ জাতীয় দিবস উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকার ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে সরকার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পদক প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি নারীদের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদযাপন করা হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী।’
এ দিবসে ৮টি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ ৫ জন বাংলাদেশি নারীকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পদক দেওয়া হবে। পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের চল্লিশ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা এবং সম্মাননা পত্র দেওয়া হবে।
বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করতে সম্মতি জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। গণভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্তে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি মিশন ও দূতাবাসসমূহেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ সজ্জিতকরণ, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্টার তৈরি ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইলে এসএমএস প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।