স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের বোর্ড গঠনের অনুমোদন

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের বোর্ড গঠনের অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবন্টিত লভ্যাংশ ব্যবহারে গঠিত মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ব্যবস্থাপনায় ‘বোর্ড অব গভর্নস’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (০৭ জুলাই) বিএসইসির ৭৮১তম সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে শেয়ারহোল্ডারদের যে অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে তা চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ‘মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ এ জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে পড়ে থাকা অর্থ-শেয়ার ও নন রিফান্ডেড পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সব তালিকাভুক্ত কোম্পানি, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ জুন এই তহবিল পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ প্রণয়ন করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। ওই রুলস অনুযায়ী এই তহবিল ব্যবস্থাপনায় ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস থাকবে। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও তিন সদস্য থাকবেন, যাদের মনোনীত করবে বিএসইসি।

এছাড়াও বোর্ড অব গভর্নসে বিএসইসি থেকে ৪ জন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) থেকে একজন করে মনোনীত সদস্য থাকবেন। একজন প্রফেশনাল চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারি বা চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট এবং একজন চিফ অব অপারেশন (সিওও) থাকবেন।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে তাদেরকে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ এর হিসাবে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশ বিতরণের রিপোর্ট, সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারের বিস্তারিত তথ্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) দিতে হবে। একই সময়ে এসব তথ্যের একটি কপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিডিবিএল) জমা করতে বলা হয়েছে।

কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে তিন বছর হিসাবে পড়ে থাকা অর্থ তহবিলে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে দিতে হবে।

জানা গেছে, এ তহবিলের আকার ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। আর বোনাস স্টক লভ্যাংশের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এ তহবিলটি পরিচালনা করবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ। তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত