বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়,সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮২ কোটি ১৩ লাখ ৩ হাজার ৮২৯ টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ৬৫৯ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে চার কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৯০০ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩০ টাকা বা দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বাজার মূলধনের সঙ্গে গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪১০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮৮ টাকা। যেখানে তার আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৬২৪ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ৬৩৩ টাকা। সে হিসাবে টাকার অংকে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়েছে ৭৮৬ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ টাকা বা ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
একই সঙ্গে গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬০২ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৩৪৭ টাকা। তার আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ছিল ১ হাজার ৪০৬ কোটি ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০৮ টাকা। সে হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে ১৯৬ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার ৯৩৯ টাকা বা ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১২ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৬ হাজার ১৫০ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৪৮ দশমিক ২১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ২ হাজার ২০৮ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৬ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৪ শতংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪১ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩০টির, কমেছে ১৩৬টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির আর লেনদেন হয়নি ৪টির।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বিবিধ খাত। ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের। আর ৮ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ১১ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে চার কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৫৮৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা দশমিক ৫৯ শতাংশ।
সিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮৬ কোটি ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ টাকার। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৬ কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজার ২৩৪ টাকার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০০ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার ২৯৪ টাকা বা ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৬ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭ হাজার ৭৯৫ দশমিক ০৪ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৩টির, কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির শেয়ারদর।