খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর হচ্ছে শক্তির অন্যতম একটি ভালো উৎস।
আমরা সবচেয়ে বেশি খেজুর খেয়ে থাকি ইফতারিতে। কিন্তু আমরা কি জানি যে কেন ইফতারে খেজুর খাওয়াকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে? আমরা হয়তো অনেকেই জানি না এটির কারণ। এতে প্রচুর এমিনো অ্যাসিড, প্রচুর শক্তি, শর্করা, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। আর এ উপাদানগুলোর কারণে সারা দিন রোজা শেষে ইফতারে এটি ক্লান্তি দূর করে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগান দেয়। তাই রোজার সময় এটি খাওয়াকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর অনেক উপকারিতা সবসময়ই পেতে এটি সারাবছরই খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
এ ছাড়া সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে মিলবে অনেক উপকার। ড্রাই খেজুরকে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খালি পেটে খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এ ছাড়া পাকা খেজুর নরম ও মাংসল হওয়ায় এটি সহজেই হজম হয়ে যায়।
এর বাইরেও রয়েছে খেজুরের অনেক উপকারিতা। জেনে নিন খেজুর খেলে মিলবে যত উপকার—
১. খেজুরে কোলেস্টেরল ও বাড়তি চর্বি না থাকার কারণে আপনি অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বিজাতীয় খাবারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এটি।
২. এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এর কারণে এটি পেশি গঠন করে এবং শরীরের জন্য অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
৩. খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই এটি হৃৎপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই যাদের হৃৎপিন্ডের সমস্যা হয়, তাদের জন্য এটি অনেক ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারে।
৪. এতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে। শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক ভিটামিন (বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫) ছাড়াও ভিটামিন সির ভালো উৎস এটি। আর এটি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী।
৫. খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড়কে মজবুত করে। এ ছাড়া এটি শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
৬. গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে অনেকটাই। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সময় ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ করে থাকে।
৭. রুচি বাড়াতে অনেক কার্যকরী হচ্ছে খেজুর। শিশুদের খাবারে অরুচি থাকলে তাদের নিয়মিত খেজুর খাওয়াতে পারেন। এতে তাদের খাবারের রুচি ফিরে আসবে।