এর মধ্যে ২১৯টি বা ৯৪ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে সংস্থাটি।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যে কোনো বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ জানানোর জন্য ‘কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল’ (সিসিএএম) নামে তৈরি করা বিশেষ ধরনের এ সফটওয়্যার গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করে বিএসইসি।
অনলাইনের এই পদ্ধতিতে অভিযোগ দাখিল করতে বিনিয়োগকারীর ১৬ সংখ্যার বিও, নাম, ঠিকানা, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। অভিযোগ দাখিলের পরপরই অনলাইনে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র পাবেন অভিযোগকারী।
অভিযোগের জন্য অনলাইন মডিউল চালুর ছয় দিনের মাথায় ৬ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির মডিউল ফলদায়ক ও কার্যকর। এই মডিউলটি চালুর দুই দিনের মধ্যেই একটি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সেটি সাধারণ প্রক্রিয়ায় করতে গেলে হয়তো এক মাস লাগত। কারণ এতে অনেক প্রসিডিউর অনুসরণ করতে হত।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ধরণের এ সফটওয়্যার চালুর পর গত ছয় মাসে ২৩২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৩টি অভিযোগ অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়েছে। অনিষ্পত্তি অবস্থায় থাকা অভিযোগগুলোর মধ্যে ৪টি ফেব্রুয়ারি মাসের এবং ৯টি মার্চ মাসে জমা পড়েছে।
জানা গেছে, মার্চ মাসে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে ‘কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল’ এর মাধ্যমে ২৪টি অভিযোগ করেন। তার আগে বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯টি অভিযোগ এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৩টি অভিযোগ জমা পড়ে।
বিএসইসির অনলাইন মডিউলটি চালু হওয়ার পরে গত বছরের অক্টোবরে সব থেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়ে। মাসটিতে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কাছে ৮২টি অভিযোগ করেন। পরের মাস নভেম্বরে ৫৬টি এবং ডিসেম্বরে ২৭টি অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়ে বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ মডিউলের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এতে অভিযোগকারীর হয়রানি ও ব্যয় কমে এসেছে। আগে যেসব অভিযোগ বছরের পর বছর পড়ে থাকত তা এখন অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে।