রোববার (১১ জুলাি) দুপুরে খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে গত নভেম্বর থেকেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করছে। প্রয়োজনে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আইন দুদককে সে ক্ষমতাও দিয়েছে।
ইতোমধ্যে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি দুদকের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি সুপারিশ পাঠানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সেই চিঠি কমিশনের সভায় উত্থাপনের প্রস্তুতিও নেয় দুদক। পরে গতকাল কমিশনের সিদ্ধান্তে এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
এর আগে গত রোববার (৪ জুলাই) ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ চার সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন তৈরি করে সেখানে দেখা যায়, ১৪ মার্চে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা। মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। যেখানে তার একই তারিখে গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা।
অন্যদিকে ওই তারিখ পর্যন্ত ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকার মালামাল কেনার পর প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার সম্পদ থাকার কথা থাকলেও, বিভিন্ন হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ দেখাচ্ছে ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালি তাদের বর্তমান যে সম্পদ আছে তাদের তারা মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌছাতে পারবে। আর বাকি গ্রাহকদের কোনোভাবেই পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব না। এই অবন্থা বাংলাদশে ব্যাংক ধারণা করছে গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে।