রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। খামারি ও ক্রেতাসাধারণকে কোরবানির পশু অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।
অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে এরই মধ্যে ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন করা হয়েছে। বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটও অনলাইনে পশু বিক্রি করছে। ফেসবুক গ্রুপ কিংবা ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকেও পশু বিক্রি চলছে। সব মিলিয়ে অনলাইনে এবার এক লাখ পশু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে এরই মধ্যে পশু বিক্রিও শুরু হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লাগাম টানতে চলমান লকডাউনে সরকারি অফিসের সব কার্যাবলি ভার্চুয়ালি পরিচালনা করতে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণ রোধকল্পে আরোপিত বিধিনিষেধে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হিসেবে সব জরুরি অফিস ও সেবা চালু রয়েছে। এক্ষেত্রে সব সরকারি দাপ্তরিক কাজসমূহ ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে এবার বিধিনিষেধ ‘কঠোর’ই করার কথা বলা হয়। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলে পুলিশও। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীও। এরপর ৫ জুলাই বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।