একই সঙ্গে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাও জরুরি। সোমবার (১২ জুলাই) শ্রমিকদের জরুরি ভিত্তিতে তাদের করোনা টিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন নামে একটি সংগঠন।
বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, চলমান বিধিনিষেধে অনেক সেক্টর বন্ধ থাকলেও গার্মেন্ট সেক্টর চালু রেখেছে সরকার। মালিকদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ খাত চালু রাখার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না।
কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকরা পূর্বের মতো পায়ে হেঁটে কারখানায় আসলেও দূরে অবস্থান করা শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেল্টা) বিস্তৃতির ফলে সবচেয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বিস্তৃতির ফলে হুমকির মুখে গার্মেন্ট শ্রমিকরা। চলমান বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধ কিন্তু গার্মেন্টসসহ অধিকাংশ শিল্পকারখানাই খোলা। কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকরা হেঁটে কারখানায় যেতে পারলেও দূরে অবস্থান করা শ্রমিকরা পড়ছেন বিপাকে।
আর অধিকাংশ কারখানায় নেই প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। শ্রমিকদের টিকার ব্যবস্থা না করলে শ্রমিকদের মধ্যে করোনার বিস্তার ঘটবে এবং অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় সকল শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদান অত্যন্ত জরুরি।