অন্যদিকে হাতের মুঠোয় পাওয়া সুযোগটি বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন সাদমান। প্রথম ইনিংসে ভালো শুরুর পর থেমে যান ২৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারের দেখা পেয়ে যান। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম।
নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে সাদমান বলেন,‘টেস্ট সেঞ্চুরি স্বপ্নের মতো। সব ব্যাটসম্যানেরই তো স্বপ্ন থাকে প্রথম সেঞ্চুরি নিয়ে। ওইরকম প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আশায় ছিলাম যে ইনশাআল্লাহ একদিন হবে। জিম্বাবুয়েতে সেরাটা দিতে পেরেছি তাই একটা ভালো ফল এসেছে। এটা দলের জন্যও ভালো হয়েছে, দল জিতেছে। জয় নিয়ে দেশে ফিরেছি।’
জিম্বাবুয়েতে শুধুমাত্র টেস্ট খেলতে গিয়েছেন ৭ ক্রিকেটার। তারা আজ সকালে ঢাকায় ফিরেছেন। নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ তৃপ্ত সাদমান। দল বিবেচনায় বাংলাদেশ সেরা সাফল্য পেয়েছে বলেই বিশ্বাস করেন সাদমান, ‘ওদের কন্ডিশন অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমার সব সময়ই মনে হয়েছে যে আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো ছিল। আমাদের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। রিয়াদ ভাই, তাসকিন, মুমিনুল ভাই সবাই আমাদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছিলেন।’
সাদা পোশাক ছাড়া সাদমান বিবেচনায় আসেন না। পরবর্তী টেস্টের জন্য সাদমানকে অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময়টায় অনুশীলন ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই তা ভালোভাবেই জানেন বাঁহাতি ওপেনার,‘অন্য ফরম্যাট খেলতে পারছি না সেটা নিয়ে মন খারাপ করে লাভ নেই। টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে হলে তো আপনাকে এমন মানতে হবে। বিশ্বে করোনার যে অবস্থা এতে তো কারও হাত নেই। আমি আমার অনুশীলন করে যাব। সময় আসলে ভালো খেলার চেষ্টা করব।’