পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৬টা পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাসখন্দের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তাসখন্দের সম্মেলনে যোগাযোগ, অর্থনীতি, চলমান করোনার টিকা ইস্যুসহ সমসাময়িক বিষয়, বিশেষ করে আফগানিস্তানের চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
জানা গেছে, উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের আয়োজিত সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান এবং ইইউসহ বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ ও জোটের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ইস্কাটনের নিজ বাসভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উজবেকিস্তান সফর সম্পর্কে জানান, সফরে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে ঢাকার সঙ্গে তাসখন্দে সরাসরি উড়োজাহাজের ফ্লাইট চাওয়া হবে। তাছাড়া দেশটিতে থেকে তুলা আমদানি বিষয়েও আলোচনা করবে বাংলাদেশ।
এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দেশ ভারত, চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, ওয়াং ই ও সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাইড লাইন বৈঠক করেন। তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে জোরালো সমর্থন চাইবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ড. মোমেন সাংবাদিকদের জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ ঢাকা ও নয়া দিল্লির ছোট ছোট কিছু বিষয়ের সমাধান নিয়ে কথা বলবেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনা হবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশকে আরও ১০ লাখ টিকা উপহারের ঘোষণা দেবেন। এছাড়া রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোরালো আলোচনা করবেন। ঢাকার পক্ষ থেকে সোমবার (১২ জুলাই) জেনেভায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাস হওয়া রেজ্যুলেশনসহ প্রত্যাবাসন ও সম্প্রতি সেনা প্রধানের রাশিয়া সফরের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলবেন মোমেন।