অধিদপ্তর জানায়, কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য বর্তমানে অনলাইনের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৮। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে ৬০২টি আর বেসরকারি উদ্যোগে ১ হাজার ১৬৬টি। এসব অনলাইন বাজারে ১৪ দিনে ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯২টি কোরবানিযোগ্য পশুর তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দেবাশীষ দাশ গণমাধ্যমে বলেন, ‘গত বছর প্রথম অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছিল। ওই বছর অনলাইনে ৮৭ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত অনলাইনে যে পরিমাণ কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে, তার থেকে বেশি প্রত্যাশা ছিল। তবে গত বছরের থেকে এ বছর ভালো করেছি। আমাদের প্রত্যাশা, সামনে কোরবানির বড় অংশই অনলাইনে বেচাকেনা চলবে।’
স্থায়ী পশুর হাটে ১৫ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুহাট চালু রাখার সুপারিশ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
দেবাশীষ দাশ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ জুলাই পশুহাট বসা শুরু হয়েছে। হয়তো এখন অনলাইনে পশু বিক্রির প্রবণতা কিছুটা কমে যাবে। তারপরও যাঁরা হাটে যেতে চান না, তাঁদের জন্য অনলাইন অবারিত হয়ে থাকল।
১৫ জুলাই ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩২টি কোরবানির পশুর তথ্য অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। ওই দিন বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার ৭৫টি পশু। ১৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার ৮৫০ টাকা মূল্যে পশুগুলো বিক্রি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার, ছাগল-ভেড়া ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫টি।
২০২০ সালে দেশের খামারি ও কৃষকেরা প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ গবাদিপশু প্রস্তুত রেখেছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু কোরবানি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।