শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স অফিসার (এআইজি) মো. সোহেল রানা এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান।
সোহেল রানা জানান, ওই নারীর মেসেজ পাওয়ার পর তাকে জানিয়ে দেয়া হয় মিডিয়া উইং প্রবলভাবে তার পাশে থাকবে। এর পরই, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি মো. মামুনুর রশীদকে পাঠিয়ে নির্দেশনা দেয় ভদ্রমহিলাকে আইনি সহযোগিতা দিতে এবং করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেয়। ওসি শাহবাগ বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদেরই মাধ্যমে উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি সুষ্ঠু সমাধানের আয়োজন করে দেন। এর ফলে, সেই নারী আইন অনুযায়ী যেটুকু সম্পত্তি ও সুবিধা প্রাপ্য ছিলেন তা স্বল্পতম সময়ে তাকে বুঝিয়ে দেন অপরপক্ষ।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গত ২৩ জুন উভয়পক্ষের মধ্যে একটি চমৎকার বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সমস্যাটি সমাধান হয়। একইসঙ্গে সেই নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। অপরপক্ষকে জানানো হয়েছে, তার কোনো ক্ষতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করবে না পুলিশ। পাশাপাশি সেই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। সর্বশেষ ১৫ জুলাই ভদ্র মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার খোঁজখবর নেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এসময় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই নারী।
পলিসি অনুযায়ী ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিষয়াদির নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বলে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং থেকে জানানো হয়েছে।