শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। ফেরিঘাটে যানবাহন ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে চাপ।
এদিকে লঞ্চে মানা হচ্ছে না সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
অন্যদিকে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। শিমুলিয়াঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ‘নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।’
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, ‘ঘাট এলাকায় যাত্রী ও পণ্যবাহী পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে।’