মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোরবানিকে ঘিরে আমাদের একটি বিশাল অর্থনীতি রয়েছে। অনেকে গরু প্রতিপালন করেছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করতে হয়েছে। তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বিজিবির ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ কমিটির আশঙ্কা, লকডাউন শিথিলের কারণে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এ বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা চিন্তা করে সরকার লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ আরও বলেন, দেশের সবজায়গায় সমানভাবে উন্নয়ন করছে বর্তমান সরকার। সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নের সমবণ্টন করা হচ্ছে। কোনো এলাকা এখন আর অবহেলিত নয়। সবখানেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা চুয়াডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন রয়েছে একটি বিমান বন্দরের। সেই স্বপ্নও পূরণ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। আর তাই প্রতিটি জেলাতে সমানভাবে উন্নয়ন কাজ হবে।
অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির সক্ষমতার প্রশংসা করে বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিজিবি এখন অনেক শক্তিশালী। এ বাহিনীকে আরও আধুনিকভাবে গড়ে তুলতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি দফতরে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসঙ্গে মেহেরপুর জেলায় বিজিবির নতুন একটি ব্যাটালিয়ন সংযুক্ত করা হবেও উল্লেখ করেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, বিজিবির যশোর রিজিওয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মুনছুর আলম খান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলমসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।