রোববার (১৮ জুলাই) হারারেতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে টাইগার বাহিনী।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে ২৪১ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশকে। মাঝারি লক্ষ্যের রান তাড়ায় শুরুটা খারাপ ছিল না তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের। ৯.৩ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ৩৯ রান। প্রথমে আউট হন তামিম। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাসও।
মাঝে ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
শেষদিকে আফিফ হোসেন ধ্রুব উইকেটে এসে সাকিবকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ শট না খেলে সিঙ্গেলস-ডাবলসে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ২৩ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই ১৫ রান করা আফিফ শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি নিতে গিয়েই আউট হয়েছেন।
আফিফ যখন আউট হয়েছেন তখনো ১১ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬৮ রান। হাতে মাত্র ৩ উইকেট। তখন একমাত্র ভরসা সাকিব আল হাসান। তবে এমন কঠিন পরিস্থিতিও ঠান্ডা মাথায় দলকে বের করে আনেন তিনি। ম্যাচের শেষ ওভারে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামের বিধ্বংসী বোলিং সত্ত্বেও বাংলাদেশের সামনে ৯ উইকেটে ২৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেছেন ওয়েসলি মাধভিরে। বাংলাদেশের হয়ে পেসার শরিফুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট।