সূত্র মতে, বন্ডটির মেয়াদ হবে ৫ বছর। অর্থাৎ ৫ বছর পর ৫শ কোটি টাকার বন্ডটির আকার হবে সাড়ে ৭শ কোটি টাকা। নগদের বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- রিডেমেনবল, নন-কনভার্টেবল অ্যান্ড জিরো কুপন বন্ড।
সূত্র জানায়, কুপন বন্ডটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্বশাসিত করপোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটিতে ৩০ কোটি টাকা বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে।
এদিকে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের জনগণের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। এই প্রয়াসের একটি ফসল হলো ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা 'নগদ'।
নগদ হল একটি গতিশীল এবং সুরক্ষিত ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস যা গ্রাহকের দৈনিক আর্থিক লেনদেনের জন্য যেমন নগদ ইন, ক্যাশ আউট, প্রেরণ মানি (পি টু পি), মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি সহজতর করে তোলে। এছাড়াও আকর্ষণীয় নতুন পণ্য এবং পরিষেবা আনতে চলেছে এই সংস্থাটি।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ তিন কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৭১০ টাকা। এছাড় অনুমোদিত মূলধন রয়েছে ১০ কোটি টাকা।
সূত্র মতে, এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে নগদ কোম্পানির তারল্য ও মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এ বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং এরেঞ্জার রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড।
এদিকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার জন্য যে পরিমাণ আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়, বন্ড বাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সংগ্রহ করতে এতটা আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না। খরচের পরিমাণও পুঁজিবাজার থেকে তুলনামূলকভাবে কম। বন্ডে ঝুঁকিও কম। তাছাড়া পুঁজিবাজার উন্নয়নেও শক্তিশালী বন্ড মার্কেট দরকার।
এদিকে পুঁজিবাজারের স্বার্থে বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। বন্ড বাজারের উন্নতি হলে ব্যাংক খাতের উপর নির্ভরতা কমে যাবে বলে মনে করছেন আর্থিক খাতের বিশ্লেষকগন।