আমিরাতের সব ধরনের ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। অর্থাৎ এই চার দেশের নাগরিকরা নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী দেশটিতে যেতে পারবেন না। যে কারণে আমিরাতে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে তাদের।
এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের ভ্রমণকারীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। পরে ২৯ জুন বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ভ্রমণকারীদের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ওই সময় আমিরাতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (জিসিএএ) জানায়, ‘বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, সিয়েরা লিওন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, উগান্ডা, জাম্বিয়া, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রমণকারীদের আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত আমিরাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
মালবাহী কার্গো ফ্লাইট এবং বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত ফ্লাইটসমূহ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। ১৮ জুলাই আমিরাতভিত্তিক এয়ারলাইন ইতিহাদ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ, ভারতসহ ছয়টি দেশ থেকে বিমান চলাচল স্থগিত করে। পরে তা বাড়িয়ে ৩১ জুলাই করা হয়।
তবে আমিরাতের নাগরিক, কূটনীতিক এবং গোল্ডেন ভিসাধারীরা এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। আমিরাতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষার সনদ দেখাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।