শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার আছে; ডাক্তার, নার্স, আর্মি, পুলিশ, নেভি, শিক্ষক-ছাত্র, তাদের আগে টিকা দেয়ার জন্য। তাদের পরিবারের যারা ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে, তাদেরও এর আওতায় নিয়ে আসব। এ সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি আমরা। এখন থেকে এটা কার্যকর। সুরক্ষা অ্যাপসে আমরা এটি দিয়ে দিচ্ছি, সে অনুযায়ী কাজ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে কমিটি করে দিয়েছি। আগেও কমিটি ছিল, এখন আরও জোরদার করা হয়েছে সেই কমিটি। সেই কমিটি প্রতিটি গ্রামে রোগী খুঁজবে এবং দেখবে সেই অর্ডার করেছি। প্রাথমিক স্টেজেই হাসপাতালে নেওয়া লাগলে নেয়ার ব্যবস্থা করবে, সেই নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। কারণ দেরি করে হাসপাতালে এলে মারা যায়, কিছু করার থাকে না।’
‘তাদের আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছি, গ্রামের বয়স্ক লোকদের আগে টিকা দিতে হবে। তাদের নিয়ে আসবা টেনে, যারা টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। তাদের টিকা দেয়ার জন্য নিয়ে আসবা, নিয়ে এসে টিকা দেবা। যারা কম বয়সী, তারা পরে নিলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু বয়স্ক লোকরা মৃত্যুঝুঁকিতে আছে। তাদের আগে দিতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতি সপ্তাহে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন (এলএমও) আনার ব্যবস্থা করেছি। মাসে ৮০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আসবে। আমাদের যা আছে তার সঙ্গে এগুলো যুক্ত হবে। সরকার প্রায় ৪৩টি অক্সিজেন জেনারেটর অর্ডার করেছে। আমেরিকা থেকে আমরা আড়াইশ ভেন্টিলেটর পাচ্ছি। আমেরিকায় বসবাসরত বাঙালিরা বিনামূল্য বাংলাদেশের মানুষকে উপহার হিসেবে এগুলো দিচ্ছে।