বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান কার্যালয় নিকুঞ্জে শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠিত হয়।
আইপিওতে ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য তথা ১০ টাকা দামে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। এর বিপরীতে এক হাজার ৩৯১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসেবে চাহিদার ১৩ দশমিক ৯১ গুণ আবেদন জমা পড়ে। পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
জানা গেছে, সাউথবাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু দাঁড়িয়েছে ১৩.১৮ টাকা। আর ওই বছরের ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৪ টাকা। যা বিগত ৫ বছরের ভারিত গড় হারে হয়েছে ১.২৪ টাকা। আইপিওতে ব্যাংকটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
সাউথ বাংলা ব্যাংকের আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ৬৬১ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকার; ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ১৩১ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার; প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে ৯১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার এবং প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আবেদন পড়েছে ৫০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার।
এর আগে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের আইপিওতে যেসব ইলিজিবিল ইনভেস্টর আবেদন করেছে তাদের শেয়ার বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করা ৬৮২টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে এই শেয়ার বণ্টন করা হয়েছে।
যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ৪ কোটি শেয়ারের বিপরীতে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬০০ শেয়ারের আবেদন পড়েছে। অর্থাৎ ৪০ কোটি টাকার বিপরীতে সাউথ বাংলার আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৫০৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে চাহিদার ১২.৬৮ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আর প্রো-রাটা ব্যাসিসে আবেদন করা ৬৮২টি যোগ্য বিনিয়োগকারীর মধ্যে শেয়ার ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করা সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক গত ৯ মে আইপিওর অনুমোদন পায়। ওইদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) তার ৭৭৩তম সভায় এ অনুমোদন দেয়। এর আগে দীর্ঘ ১২ বছর পর চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়; ব্যাংকটির আইপিওতে আবেদন পড়েছিল ৮ দশমিক ৭২ গুণ।