এনডিটিভি জানায়, করোনা সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে নতুন করে বৈশ্বিক অফিসগুলো খোলা শুরু করেছে লিংকড-ইন। গত অক্টোবরে লিংকড-ইন ঘোষণা করে, করোনার কারণে দেয়া লকডাউন তুলে নেয়া হলেই ৫০ শতাংশ কর্মী অফিসে কাজ করবেন। কিন্তু নতুন নিয়মে সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
করোনা মহামারিতে পুরো সময় বাড়ি থেকে কাজ করা বা বাড়ি-অফিস সমন্বয় করে কাজের সুযোগের ফলে বিশ্বব্যাপী লিংকড-ইনের ১৬ হাজার কর্মীর কাজে গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত বুধবার হ্যানসন বলেন, ‘আশা করছি আমাদের আরও বেশি বেশি কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন, করোনা মহামারিতে এটিকেই আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।’ তবে কিছু কিছু কর্মীকে অফিসে এসেই কাজ করতে হয় বলে যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আপাতত অফিসে ফেরার জন্য কর্মীদের ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই, যেভাবে ফেসবুক এবং গুগলের কর্মীদের মধ্যে আক্রান্ত বেড়েছে এবং টিকার চাহিদাও বেড়েছে তাদের কাছে। করোনা সংক্রমণের কারণে টুইটারও সম্প্রতি চালু করা তাদের অফিসগুলো বন্ধ করছে।’
তবে বাড়ি থেকে অফিস করলে বা অবস্থান পরিবর্তন করে অফিস করলেও বেতন নিয়ে লিংকড-ইনের কর্মীদের কোনো চিন্তা করতে হবে না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট কমিউনিকেশনের পরিচালক গ্রেগ স্ন্যাপার। স্থানীয় বাজার অনুযায়ীই তাদের বেতন সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর টেক প্রতিষ্ঠানগুলোই প্রথম কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিয়েছে। তবে বাড়ি থেকে কাজের ফলে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হওয়ায় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়মে পরিবর্তন আনছে।
আগামী অক্টোবর থেকে অ্যাপলের কর্মীদের সপ্তাহে তিনদিন অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে। যেখানে জিলো গ্রুপ এবং রেডিট ইনকরপোরেটেড বেশিরভাগ কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দেবে। আবার অ্যালফাবেট ইনকরপোরেটেড গুগল আশা করছে পার্ট-টাইম ভিত্তিতে তাদের ৬০ শতাংশ কর্মী অফিসে ফিরবেন।